চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সমর্থকদের শীতের তীব্রতা অনুভব করতে দেননি সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। বারবার বল বাউন্ডারি ছাড়া করে সমর্থকদের মাতিয়ে রাখেন ফরচুন বরিশালের পুরো ইনিংসজুড়ে। আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শুরুতে ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা। এই পরিস্থিতিতে সচরাচর রয়ে-সয়ে খেলার বাইরে গিয়ে সাকিব-ইফতিখার চালিয়েছেন তাণ্ডব।
৪৫ বলে ইফতিখার খেলেছেন ১০০ রানের ইনিংস। যা টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। এই বিপিএলে এখন পর্যন্ত তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে। সবগুলোই করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। আজম খান, উসমান খানের পর করলেন ইফতিখার। তাঁদের প্রত্যেকেরই ছিল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি। ইফতিখারের ইনিংসে ছিল ৯টি ছক্কা ও ৬টি চার।
৪৩ বলে ৮৯ রান করেছেন সাকিব। বরিশালের অধিনায়কের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা। ৮৬ বলে ১৯২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। দুজনই থাকেন অপরাজিত। এতে বরিশাল ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের বড় সংগ্রহ পায়। রংপুরের বোলারদের অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
বিপিএলের পঞ্চম উইকেটে এটি এখন সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব উইকেট মিলিয়ে তৃতীয়। বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের জুটি ২০১ রান। ২০১৭ সালের বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এই জুটি গড়েছিলেন। বিপিএলে দলীয় যৌথ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরও এটি। ২০১৯ সালের বিপিএলে রংপুর সর্বোচ্চ ২৩৯ রান করেছিল। একই টুর্নামেন্টে ২৩৮ করেছিল চট্টগ্রাম। বরিশালের ইনিংসে ছিল ১৯টি ছক্কা ও ১৬টি চার।