ইনিংসের শেষ বলে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে ড্রেসিং রুমের দিকে দৌড় লাগালেন নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে দেখে সন্তুষ্টই মনে হলো। কিন্তু সমর্থকদের মন কি তাতে ভরল?
দুবাইয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পরশু ১৫৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে করল ১৬৯। ১১ রান বেশি হওয়ায় ব্যাটিংয়ে উন্নতি স্পষ্ট। তবে আইসিসির একটা সহযোগী দলের বিপক্ষে নিশ্চয় আরও বড় ইনিংসের প্রত্যাশা করেছিলেন সবাই।
শুরুতে উইকেট হারিয়ে ফেলার রোগ থেকে বাংলাদেশ আজও বেরোতে পারেনি। মেকশিফট ওপেনার সাব্বির রহমান শুধু এক অঙ্ক থেকে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন—এই যা! তাঁর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ রানে ফিরলেও স্ট্রাইট রেট নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
পাঁচ চারের সৌজন্যে করেছেন ৩৭ বলে ৪৬ রান করেছেন মিরাজ। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তবে পাওয়ার প্লেতে তিনটি বাউন্ডারি মারার পর যেন ‘শীতনিদ্রায়’ চলে গিয়েছিলেন মিরাজ। পরের বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ১০ ওভার! তিনি আউট হয়েছেন ১৫ তম ওভারের শেষ বলে। অথচ একজন জাত ওপেনার কিংবা বিধ্বংসী ব্যাটার শুরু থেকে ১৫ ওভার টিকে গেলে অনায়াসে ফিফটি পেরিয়ে ইনিংসটাকে সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা। মিরাজ সেখানে ফিফটিও ছুঁতে পারেননি।
তিনে নামা লিটন দাস আজও দারুণ শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আগের ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব আরেকটি ঝড়ের আভাস দিয়ে করেছেন ১০ বলে ১৮। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২৭ আর শেষ দিকে ইয়াসির আলী রাব্বি ও অধিনায়ক সোহানের ক্যামিওতে আরব আমিরাতকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের সেরা বোলার আফজাল খান।