বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ চারবার ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন সাকিব আল হাসান। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় আছেন সবার ওপরে। বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টে রানও করেছেন পাল্লা দিয়ে। অথচ বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটারের এবারের বিপিএল খেলা নিয়েই রয়েছে অনিশ্চয়তা।
ক্রিকেট থেকে সাকিব যে একেবারে বিচ্ছিন্ন তা নয়। আবুধাবি টি-টেন লিগ, লঙ্কা টি-টেন লিগে খেলেছেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার। অথচ বাংলাদেশের মাঠে এসে সাকিবের খেলা নিয়েই ঝামেলা চলছে গত কয়েক মাস ধরে। সাকিবিয়ান (সাকিব পক্ষ) ও সাকিব বিরোধী পক্ষের মধ্যে মিরপুরে সংঘর্ষও পর্যন্ত হয়েছে। চিটাগং কিংস এবারের বিপিএলে সাকিবকে নিয়েছে ঠিকই। তবে তিনি আদৌ খেলতে পারবেন কি না সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
২০২৪-২৫ বিপিএল শুরু হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলায় বিসিবির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদমাধ্যমকে ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ সুজন বলেন, ‘তার (সাকিব) লম্বা ক্যারিয়ারের সামনে সাতটা মাস আমরা ছাড় দিতে পারলাম না। সাকিব যেহেতু এতকিছু দিয়েছে সেখানে সেটুকু বিবেচনা করা যেত আর কী! দেশের একটা বড় খেলোয়াড় সে। দেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টটা সে খেলতে পারবে না।’
সাকিবের নামের পাশে এ বছরের শুরুতে লেগে গেছে রাজনৈতিক পরিচয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কারণেই দেশে তাঁর খেলা কঠিন হয়ে পড়েছে, সেটা আর না বললেও চলছে। সাকিবের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে যেটা মনে হয়, সাকিব তাঁর ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে অবশ্যই রাজনীতি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সাকিবকে চিনিয়েছে ক্রিকেটার হিসেবে। বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হিসেবে। তার উত্থান ক্রিকেটার হিসেবে। সুতরাং সে রাজনীতি করেছে, অন্যায় করেছে, সেটা আমি বলতে পারব না।’
বিপিএলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। গত ১৮ বছরে বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব যা করেছেন, সেটা চিন্তা করেও রাজনৈতিক অংশটুকু বাদ দেওয়া যেত বলে মনে করেন সুজন। ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ বলেন, ‘সাকিবিয়ান তো অনেক সারা দেশে। তাই না। সাকিব নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়। সাকিব না থাকাটা তো আমাদের সবার জন্যই একটা...যেহেতু সাকিব খেলে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলতে পারছে না এটা একটা ব্যর্থতাই আমাদের জন্য আমি মনে করি সত্যি কথা বলতে।’
সাকিবের মতো মাশরাফি বিন মর্তুজার নামের পাশেও লেগে আছে রাজনৈতিক পরিচয়। দেশের মাঠে মাশরাফির খেলা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে সাকিবের মতো মাশরাফিকে বিদেশে সময় কাটাতে হচ্ছে না। মাশরাফি আছেন দেশেই।