রেকর্ড গড়তে সবাই চায়। তবে বিব্রতকর রেকর্ডগুলোর ধারে কাছে কেউ থাকতে চায় না।
তবে খেলোয়াড়েরা চাইলেও অনেক সময় নেতিবাচক রেকর্ড এড়িয়ে যেতে পারেন না। ম্যাটি ম্যাককিরনানও যেমন পারলেন না রাইলি রুশোর কারণে। ইংলিশ লেগ স্পিনার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে খরুচে বোলার হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন।
টি-টোয়েন্টিকে ব্যাটারদের খেলা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বোলাররা প্রায়ই হয়ে পড়েন দিশেহারা।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ ভাইটালিটি ব্লাস্টে গত রাতে সমারসেটের বিপক্ষে ডার্বিশায়ারের বোলারদের অবস্থা ছিল তেমনই। ডার্বির লেগ স্পিনার ম্যাককিরনানের দশা আরও শোচনীয়। ৪ ওভারে ৮২ রান দিয়ে খরুচে বোলারদের তালিকায় সবার ওপরে উঠে এসেছেন তিনি।
এত দিন সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার আগের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের পেসার সারমাদ আনোয়ারের। তিনি ২০১১ সালে সুপার এইট টি-টোয়েন্টি কাপে শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্সের হয়ে ৪ ওভারে ৮১ রান দিয়েছিলেন লাহোর লায়ন্সের বিপক্ষে।
কিন্তু সমারসেট ইনিংসের ১৫ তম ওভারে ৩৬ রান দিয়ে বেদনাদায়ক রেকর্ডটা নিজের করে নেন ম্যাককিরনান। ৫ ছক্কা ও এক চারের সঙ্গে দুটি নো বল দেন ওই ওভারে। বিপিএল মাতানো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার রাইলি রুশো একাই নেন ৩৪ রান।
সমারসেট-ডার্বিশায়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আরও অনেক রেকর্ড হয়েছে। রুশো ৯৩ রান করেছেন মাত্র ৩৬ বলে। ৮ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৭ ছক্কাও। তাঁর ৯৩ ও টম ব্যান্টনের ৭৩ রানে সমারসেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬৫ রান; যা ভাইটালিটি ব্লাস্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
ডার্বিশায়ারের ব্যাটাররা জবাব দিতে নেমে ম্যাককিরনানের দেওয়া ৮২ রানের চেয়েও কম করে। অলআউট হয় মাত্র ৭৪ রানে। সমারসেট জেতে ১৯১ রানে। এটি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ও টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়।