ত্রিনিদাদে গত শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ-সময় থাকা সত্ত্বেও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে রানআউট করেননি ওবেদ ম্যাককয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি পেসারকে এ নিয়ে বেশ কটু কথা শুনতে হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ ম্যাচ গড়াপেটারও অভিযোগ তুলেছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর এই অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডকে সাময়িক ‘মতিভ্রম’ বা ‘বুদ্ধিনাশ’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন সবাই।
সেই ম্যাককয় গত রাতে কী ঝলকটাই না দেখালেন! যেন নিন্দুকদের ছোড়া তিরের জবাব বল হাতেই দিলেন। সেন্ট কিটসে কাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এখন এটিই কোনো ক্যারিবিয়ানের সেরা বোলিং ফিগার।
মিরপুরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কিমো পল। এত দিন এটিই ছিল উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা বোলিং। কাল ম্যাককয়ের বোলিং দ্যুতিতে বিব্রতকর রেকর্ড থেকে অব্যাহতি পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতাও ফিরিয়েছে।
ভারতীয় দলের লাগেজ ত্রিনিদাদ থেকে সেন্ট কিটসে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর। আগে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানে। স্বাগতিকেরা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৫ উইকেট আর ১০ বল অক্ষত রেখে।
সকালের সূর্য দেখে নাকি বলে দেওয়া যায় দিনটি কেমন যাবে। ম্যাককয়ের জন্য কালকের দিনটি আক্ষরিক অর্থেই সেরকম ছিল। ম্যাচের প্রথম বলেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে উইকেট উদ্যাপনের শুরু। এরপর একে একে শিকার ধরেছেন আরও পাঁচটি। পরিকল্পনামাফিক ফিল্ডার সাজিয়ে ও বুদ্ধিদীপ্ত স্লোয়ার বোলিংয়ে উইকেটগুলো আদায় করে নিয়েছেন ম্যাককয়। সন্দেহাতীতভাবে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
আগের ম্যাচে ‘বুদ্ধিনাশে’র ব্যাপারে ম্যাককয় বলেন, ‘আমি সাধারণত মন পরিষ্কার করে খেলতে নামি। কিন্তু ওই ম্যাচে আমি একটু বেশিই চিন্তিত ছিলাম। ঘুরে দাঁড়ানো আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাকে এমন অভিজ্ঞতা দেওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’