ক্রীড়া ডেস্ক
১৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রানরেট ছিল ৭.৩৭। তখন ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলা ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৬ রান। পরের ওভারেই বোলার বার্তমানকে পিটিয়ে লিয়াম লিভিংস্টোন ও হ্যারি ব্রুক তুললেন ২১ রান। জয়ের সমীকরণ এসে দাঁড়ায় ১৮ বলে ২৫। সহজ এই সমীকরণও মেলাতে পারল না ইংল্যান্ড (১৫৬/৬)। শেষ তিন ওভারে ১৭ রান তুলে ইংলিশরা ম্যাচ হেরেছে ৭ রানে।
ইংল্যান্ডের এই হারে গ্রুপ পর্বের অজেয় রূপটি সুপার এইটেও ধরে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর পর গতকাল সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জিতল এইডেন মার্করামের দল।
পাওয়ার-প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬০। বেড়ে যাওয়া আস্কিং রানরেটকে নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন লিভিংস্টোন ও ব্রুক। পঞ্চম উইকেটে ৪২ বলে ৭৮ রান করেন তাঁরা। তবে সুন্দর একটা সমাপ্তি দিতে পারেননি দুজনের কেউই। ৩৭ বলে ৫৩ রান করে নরকিয়ার বলে মার্করামের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে ফেরেন ব্রুক। তাঁর আগেই ১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৭ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান লিভিংস্টোন। রাবাদা ও মাহারাজ নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে রিজা হেনড্রিকস-কুইন্টন ডি কক ৫৯ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়লে দলটির বড় স্কোরের কথাই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এই জুটি ছিন্ন হওয়ার পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে তারা; যা রানের চাকা স্তিমিত করে দেয়। বিনা উইকেটে ৮৬ থেকে একপর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১৩। অর্থাৎ ২৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক ৩৮ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। ২৮ বলে ৪৩ করেন ডেভিড মিলার।
জোফরা আর্চার ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট।