অবশেষে দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের নারী ফুটবলাররা। তালেবানরা ক্ষমতা দখলের মাসখানেক পর পাকিস্তানে আশ্রয় নিলেন দেশটির নারী ফুটবলাররা। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাওয়াদ জানিয়েছেন, যথাযথ কাগজপত্র দেখিয়ে তোরখাম সীমান্তের উত্তর-পশ্চিমাংশ দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন এসব ফুটবলার। তবে পাকিস্তানই তাঁদের শেষ ঠিকানা নয়। শিগগিরই ইউরোপের কোনো দেশ বা অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হবে নারী ফুটবলারদের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ। লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান থেকে তোরখাম সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে আসা আফগান নারী ফুটবল দলকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা সবাই আফগানিস্তানের বৈধ পাসপোর্ট ও পাকিস্তানের ভিসা নিয়ে এসেছে। পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের নৌমান নাদিম তাদের স্বাগত জানিয়েছেন।’
পাকিস্তানে প্রবেশ করে লাহোরের গাদ্দাফি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে চলে যান নারী ফুটবলাররা। সেখানেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁদের। মূলত অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দলের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানে গেছেন।
৮১ জনের বহর নিয়ে গত মঙ্গলবার দেশ ছাড়েন নারী ফুটবলাররা। আজ (বৃহস্পতিবার) আরও ৩৪ জনের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফুটবলারদের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক ভিসা দেওয়া হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে তালেবানের শাসনামলে আফগানিস্তানে নারীদের সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ ছিল। ফের দেশটির দখল নিয়ে নারীদের খেলাধুলার ব্যাপারে একই মনোভাব প্রকাশ করেছে তালেবান। এ কারণেই মূলত দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন নারী ফুটবলাররা।