নারীদের জাতীয় দলের ক্যাম্পে প্রতিযোগিতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সেই প্রতিযোগিতায় ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন সাফজয়ী ফুটবলার আনুচিং মগিনি। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে ফুটবলার ছাড়ার ঘোষণাও দিয়ে বসে আছেন খাগড়াছড়ির এই ফুটবলার।
গত ডিসেম্বরে নারী লিগে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে না পারায় ক্যাম্প থেকে বাদ দেওয়া হয় ১৯ বছর বয়সী আনুচিংকে। আনুচিং বাদ পড়লেও ক্যাম্পে টিকে গেছেন কয়েক মিনিটের বড় বোন আনাই মগিনি। আনুচিংয়ের সঙ্গে ক্যাম্প ছাড়তে হয়েছে সাজেদা খাতুন, নবীরন ও লিমাকে। ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন আরও নতুন চার ফুটবলার।
প্রতিযোগিতা বাড়ায় ক্যাম্পে থাকতে হলে ফুটবলারদের নিজের সেরাটা দিয়ে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন নারী জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। বাফুফে ভবনে নারীদের ক্যাম্পে এখন আছে ৬৭ ফুটবলার। ক্যাম্প বড় হওয়ায় প্রতিভাবানদের রাখার পক্ষে ছোটন, ‘ক্যাম্প বড় হচ্ছে। নতুন নতুন মেধাবী ফুটবলার উঠে আসছে। এদের তো জায়গা করে দিতে হবে। আজ মাতসুশিমা সুমাইয়া (বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানিজ ফুটবলার) ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে, আরও তিনজন গতকাল যোগ দিয়েছে। ক্যাম্পে থাকতে হলে নিজেদের সেরাটা দিয়েই থাকতে হবে।’
ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর জাতীয় দলে ফেরার উদাহরণ নেই বললেই চলে। বাদ পড়ে আনুচিংয়ের ফুটবল ক্যারিয়ার বাদ শেষ হয়ে গেল কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে ছোটন বলেছেন, ‘অনুশীলন করলে নিজে করতে হবে। নিজের ভালো নিজেকেই বুঝতে হবে। আনুচিং শুধু পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছে। ফিরতে হলে ভালোভাবে ফিরতে হবে। আনুচিং যে পজিশনে খেলে সেই ফরোয়ার্ড পজিশনে সাবিনা আছে, স্বপ্না আছে, রিপা ভালো খেলছে। আকলিমা লিগে সর্বোচ্চ গোল করেছে। তাঁকে এখন নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’
২০১৭ অনূর্ধ্ব-১৫ সাফজয়ী দলের সদস্য ছিলেন আনুচিং। তখন থেকেই আছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। গত বছর নেপালে সাফজয়ী দলে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। বাদ পড়ার পর ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের পর থেকে ফুটবলকে বিদায়।’ কেন এমন সিদ্ধান্ত সেই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘অনেক দিন তো ফুটবল খেললাম। নতুনদের সুযোগ দেয়ার বিষয়ও থাকে। গেল কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম, চিন্তা করছি, ফুটবল ছেড়ে ভিন্ন কিছু করব।’