২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটেছে কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিল স্কুলটি।
বহু সংগ্রাম আর নানা সমালোচনা গায়ে মেখে ফুটবলপাগল একদল কিশোরীকে নিয়ে দেশসেরা দল সাজিয়েছিলেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক মফিজ উদ্দিন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের পাতায় উঠে এসেছে মফিজ উদ্দিনের সেই অবদানের কথাও। তবে নিজের চেয়ে ছাত্রীদের নিয়ে আজ তাঁর ভীষণ গর্ব, ‘আমাদের গ্রাম সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীরা জানবে। খুব ভালো লাগছে।’
ক্ষোভ আর অভিমান থেকে ফুটবল থেকে দূরে সরে আছেন মারিয়া মান্দা-সানজিদা আক্তারদের বাল্যগুরু। কলসিন্দুর গ্রামের আরেকটি উজ্জ্বল প্রজন্ম কীভাবে তৈরি হবে, তা নিয়ে নেই আর কোনো স্বপ্ন, ‘আমি আর এসব নিয়ে ভাবি না। বইয়ে আমার নাম আছে কি না, তা-ও জানি না। আর ভাবতেও চাই না। কী দরকার আর এসব নিয়ে চিন্তা করে?’