পাঁচ বছর আগে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ‘মাইজিপি’। গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে মাইজিপি ১.০-এর প্রাথমিক পর্যায়ের উন্মোচন করা হয়। ২০১৭ সালে ফ্লেক্সিপ্ল্যান ও অন্যান্য অত্যাধুনিক টেলকো ফিচার নিয়ে ‘মাইজিপি ২.০’ উন্মোচন করে গ্রামীণফোন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে উন্মোচন করা হয় ‘মাইজিপি ৩.০ ’।
মাইজিপি’র হালনাগাদ সংস্করণ, ‘মাইজিপি ৪.০’ -এ রয়েছে ইনফিনিটি স্ক্রল ফিচার। এর ফলে, খেলা দেখা ও বিনোদনমূলক সেবা গ্রহণ আরও সহজ হয়েছে। গ্রামীণফোনের কাস্টমার সার্ভিস ইন্টারেকশন ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হচ্ছে ‘মাইজিপি’র মাধ্যমে।
যাত্রা শুরু থেকে ‘মাইজিপি’ র ১১০টি ভার্সন অবমুক্ত করা হয়। অ্যাপটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন তিন কোটি ২০ লাখের বেশি গ্রামীণফোন গ্রাহক।
এ অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল সংযোগের সেলফ-সার্ভিসগুলো ব্যবহার করাসহ এর বিনোদন ও লাইফস্টাইল নানা সল্যুশন ব্যবহার করে জীবনকে করেছেন সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে পারছেন গ্রাহকরা। সবার জন্য তথ্য জানা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা উন্মোচন করার পাশাপাশি ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ‘মাইজিপি’।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অফিসার সোলায়মান আলম বলেন, ‘মাইজিপি’ গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ। অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি স্পর্শের মাধ্যমেই গ্রামীণফোনের প্রায় সকল সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। সহজে ও দ্রুতগতিতে আরও বেশি পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে অ্যাপটি অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, গ্রামীণফোনের আকর্ষণীয় সব ডিল ও অফার এবং উদ্ভাবনী গ্রাহক-বান্ধব ফিচার রয়েছে ‘মাইজিপি’ অ্যাপে, যেটা আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বিগত পাঁচ বছরে ‘মাইজিপি’ অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাপে পরিণত হয়েছে। এটি গ্রাহকদের সুযোগ করে দিয়েছে গ্রামীণফোনের নানা সেবা গ্রহণের পাশাপাশি সংবাদ, শিক্ষা, লাইভ স্পোর্টসের মতো নানা প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণে।