Ajker Patrika
হোম > শিল্প-সাহিত্য > কবিতা

দেওয়ান আতিকুর রহমানের একগুচ্ছ কবিতা

দেওয়ান আতিকুর রহমান

দেওয়ান আতিকুর রহমানের একগুচ্ছ কবিতা

হ্যাংওভার

কয়েক মুহূর্তের জন্য মনে হল ঘাড়ের উপর মাথা নেই, পরখ করেও মনে হল, নেই। সত্যি সত‌্যি নেই!

ডান পকেটে হাত ঢুকাতেই দেখি এককাপ গরম চা!

একদম টাটকা, রক্তের মতো নোনতা!
পরপরই মনে হল আমি বসে আছি প্রিন্টের ছাদে। গাছ থেকে বরই পেড়ে খাচ্ছি...।

এই শহরে প্রেমিকা নামে কোনো ঠিকানা নেই আমার। হুটহাট নেমে যাই অচিন কোনো ইস্টিশনে। মাথার ভেতর বব ডিলান ঘুরঘুর করতেই মনে হল...যাক, মাথাটা ফেরত পাওয়া গেল ঠিকঠাক।

শীত বিকেলগুলো পাখি, স্বাধীন। সময়ের চেয়ে দীর্ঘ মনে হয় নিজের ছায়া। মনে হয় দুকদম হাঁটলেই পৌঁছে যাব সুর্যাস্তের কাছে। হলুদ সরিষাখেতে উড়ে যাওয়া শালিকের ঝাঁক ঢুকে পড়ে চোখের তারায়। বুকের ভেতর আস্ত একটা মেঘনা নদী নিয়ে আমি হেঁটে যাই নিজের লাশের দিকে...!

ঘোরগ্রস্ত দিন

এই সব বোধহীন দিন
        দীনহীন, ক্লান্তিকর
                 জীবন যাপন
এই সব বেঁচে থাকা।
কুয়োতলার শেওলার মতন
                        ক্লেদ ভীষণ
                            ভী-ষ-ণ! 

তবুও ছায়া ছায়া 
               বিকেলগুলো
কোনো এক সুদূর দিনের
ফেলে আসা মায়ার
                          মতন!
মায়া কিংবা ধূম্রজাল
ঘোরও বলা যায়,
গোধূলির শেষ আলো
             যতটা নরম। তারও
কিছু বেশি স্নিগ্ধ করে রাখে!
                      মুহূর্ত খানেক।
তা-র-প-র
বয়ে যায় সহস্র বছর…

ছুটিতে যাব

চোখ বুজলেই পিঠে গজাবে প্রজাপতির ডানা
করোটির ভেতর আটকে পড়া হাওয়ায় বেড়াব উড়ে
আকাশে-আকাশে, ঘাসে
ফানুস উড়িয়ে উড়িয়ে ক্লান্ত
তবু ফিরব না
ফেরার কোনো তাড়া থাকবে না
এবার আমি ছুটিতে যাব, সত্যি
কবরের মতো শান্ত, গভীর, অফুরান ছুটিতে!

উপলব্ধি

দুধ সাদা কাফনের ভেতর
শান্ত স্নিগ্ধ বাবার মুখ
তারপর মা!

এখন আমার ঘরের
দেয়াল ছাদ সব
কাফনে মোড়ানো ধবধবে সাদা
মাঝখানে শুধু
আলো হয়ে আছে
শৈশবে হারিয়ে যাওয়া
রঙিন মার্বেল! 

‘পঞ্চাশ বছর ধরে লিখছি, কিন্তু আমি ব্যর্থ’, স্বেচ্ছা অবসর জয় গোস্বামীর

স্বৈরাচারের স্বর্গলাভ

কফিনামা

অমাবস্যা 

লুইজ এলিজাবেথ গ্ল্যিকের একগুচ্ছ কবিতা 

উৎপাতশূন্যতন্ত্রী

আকাঙ্ক্ষাপত্র

দিব্যি বেঁচে আছি

নাগিনডান্স | বিকেল | রিসাইকেল বিন

পায়ের নিচে মাটি ও ঘাস