আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় ২০০ এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বিনা রশিদে ৪০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।
উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের বিদ্যালয় শাখার অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, পয়সা স্কুলের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান গত শুক্রবার থেকে স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৫টি প্রশ্নের একটি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে বিনা রশিদে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে আদায় করেছেন।
মহামারি করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্টর জন্য সরকারিভাবে টাকা নেওয়ার কোনো নির্দেশনা না থাকলেও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এলাকার গরিব অভিভাকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে এই টাকা আদায় করছেন।
বিদ্যালয়টিতে নতুন পুরান মিলে এ বছর ১৯৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। এই হিসেবে ৪০০ টাকা হিসেবে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়া অর্থের পরিমাণ দাড়ায় ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ফোনে বিনা রশিদে টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অ্যাসাইনমেন্টের জন্য সব টাকা নেওয়া হয়নি। টিউশন ফি ও অন্যান্য চার্জ বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে।’ বিনা রশিদে টাকা নেওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, এই প্রতিনিধি বললে তিনি টাকার রশিদ দিয়ে দিবেন। টিউশন ফি ও অন্যান্য চার্জ বাবদ টাকা নিলে কেন ফেরত দিবেন এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।
অ্যাসাইনমেন্টের নামে ৪০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করার বিষয়ে বিদ্যালয়ের এডহক পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। তাই হয়তো তাকে কিছুই জানাননি অধ্যক্ষ।
আগৈলঝাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ জানান, অ্যাসাইনমেন্টের নামে টাকা আদায় করতে পারবে না কোনো স্কুল। যদি মিজানুর রহমান টাকা নিয়ে থাকেন এর দায় দায়িত্ব তিনিই নেবেন।
আগৈলঝাড়া ইউএনও আবুল হাশেম জানান, সরকারি নির্দেশনার বাইরে কোনো টাকা আদায় করা হলে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তিনি।