বরগুনার পাথরঘাটায় হাঁড়িটানা সালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার প্রধান মনিরুল কাদিরের বিরুদ্ধে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন রাতেই পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাদ্রাসার সুপার মাও. রুহুল আমিন।
গতকাল বুধবার রাতে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান।
মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি সভা হয়। সভায় পরীক্ষার ফিসের উদ্বৃত্ত টাকা শিক্ষকদের মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী চেক ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। চেক অনুমোদনে বিলম্ব হওয়ায় টাকা উত্তোলন করতে পারিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে আমি মাদ্রাসায় আসলে আমাকে মানহানিকর গালিগালাজ করতে থাকে শিক্ষক মনিরুল কাদির। আমি এর প্রতিবাদ করলে মনিরুল কাদির ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।’
মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন আরও জানান, মনিরুল কাদির ছালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকতার পাশাপাশি পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের কাজির দায়িত্ব পালন করছেন। কাজির দায়িত্ব পালনের জন্য প্রায় সময়ই বিবাহের কাজে মাদ্রাসার বাইরে অবস্থান করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জাল কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়া মেয়েদের বাল্যবিবাহের কাবিন করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীকালে কাবিন করে নাই বলিয়া অস্বীকার করিয়া টাকা আত্মসাৎ করে। এ নিয়ে স্থানীয়রা মনিরুল কাদিরের ওপর ক্ষুব্ধ। তা ছাড়া নিয়মিত বিলম্বে মাদ্রাসায় এসে ও পাঠদান না করার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল কাদির তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার সুপার ও ইবতেদায়ি শাখার প্রধানের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এর মধ্যে সুপার রুহুল আমিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।