নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ লঞ্চঘাট ইজারা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে টানা তিন দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আগ্রহী অনেকে ইজারার দরপত্রে অংশ নিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন বঞ্চিতরা। তাঁদের অভিযোগ, ঝড়ের কারণে ইজারা কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। এ সুযোগে একতরফাভাবে শাহে আলম সিকদার নামে একজনকে ইজারা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বরিশাল নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জ খেয়াঘাট ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য শাহে আলম সিকদারকে ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
লঞ্চঘাটটি ইজারা নিতে আগ্রহী আকতার হোসেন জানান, বিআইডব্লিউটিএর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা। জমা দেওয়ার নির্ধারিত স্থান ছিল বিআইডব্লিউটিএর ঢাকার কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং বরিশাল নৌবন্দর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।
আকতার হোসেন বলেন, ২৬ মে রাতে উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। যে কারণে ২৫ থেকে ২৭ টানা তিন দিন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। মেহেন্দিগঞ্জ মেঘনা নদী বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মেহেন্দিগঞ্জ থেকে ঢাকা ও বরিশাল কোথাও যেতে না পারায় তিনি দরপত্র জমা দিতে পারেননি।
একই কারণে গোলাম মাজেদ চৌধুরী নামক আরেকজনও দরপত্র জমা দিতে পারেনি বলে জানান।দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও তাঁরা সাড়া পাননি। এর মধ্যে শাহে আলম সিকদারকে ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একইদিন আরও অনেকগুলো ঘাটের ইজারার দরপত্র গ্রহণের নির্ধারিত সর্বশেষ দিন ছিল। কালিগঞ্জ লঞ্চঘাটের জন্য বরিশালে একটি ৭০ লাখ এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় দপ্তরে ৫৪ লাখ টাকার দরপত্র জমা পড়ে। ৭০ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে শাহে আলম সিকদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় আরও অনেকে দরপত্রে জমা দিতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর কর্মকর্তা বলেন, ‘কার্যক্রম স্থগিত করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় দপ্তরের। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই দুটি দরপত্র পড়েছে। অন্য যারা দিতে পারেননি সেটা তাঁদের ব্যর্থতা!’