পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় সড়ক থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পশারীবুনিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনের সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ওই স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে সড়কে লাশ ফেলে রাখা হয়। আর নিহতের ছেলের দাবি, গতকাল রাতে দুজন লোক তাঁর বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
নিহত সেলিম শাহ (৫০) ওই গ্রামের দৌলত শাহের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সেলিম শাহ ও আরেক ব্যক্তি স্কুলশিক্ষক শহিদুল ইসলাম মালাকার ওরফে ফিরোজের ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করেন। চুরির সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে সেলিম শাহকে ধরে মারধর করে। এ সময় সেলিমের সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে সকালে ফিরোজের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে সেলিমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সেলিম শাহের ছেলে জসিম অভিযোগ করেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে দুই ব্যক্তি তাঁর বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। ভোরে খবর পান তাঁর বাবার মৃতদেহ ফিরোজের বাড়ির সামনে পড়ে আছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়ি গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেউ কথা বলতে চাননি।
ভান্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়া উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।