চট্টগ্রাম নগরে বাসায় গিয়ে টিকা দেওয়ার ঘটনায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীকে বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এই ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটিও করেছে তারা। তবে এ ঘটনায় এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে।
মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ। তিনি জানান, ওই স্বাস্থ্যকর্মী চুক্তি ভিত্তিতে চসিকের আলহাজ মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের কাজ করত। তাঁকে আমরা চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি।
খালেদ মাহমুদ আরও বলেন, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেটিও আমরা বের করব। কীভাবে টিকা চুরি করে নিয়ে গিয়ে সে বাসায় গিয়ে দিল সেটি বের করার চেষ্টা করছি। সে জন্য আমরা পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছি। এই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসে প্রতিবেদন জমা দেবে।
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক কাকে করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও চার সদস্যের নাম জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ। তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এর আগেও নগরীর হাজারি গলিতে চসিকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে টিকাদানের বিষয়ে কমিটি করা হলেও সেট এখনও প্রতিবেদন দিতে পারেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদ মাহমুদ বলেন, আমরা যেই সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম সেই অনলাইন থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় কাগজ ও তথ্য সরবরাহে দেরি হয়েছে। তাই তদন্তে বিলম্ব হয়েছে। তবে এবারের বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি নিচ্ছি। আশা করি এর পেছনে জড়িত চক্র তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।
গত শনিবার এমডি হাসান নামে এক যুবক ফেসবুকে বাসায় টিকা নেওয়ার ছবি পোস্ট করলে পুলিশের নজরে আসেন। পরে তাঁকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে বিষু দে নামে চসিকের এক স্বাস্থ্যকর্মী এই টিকাকাণ্ডে জড়িত। এ ঘটনায় সোমবার খুলশী থানায় একটি মামলা করেছে চসিক।