করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগামী বৃহস্পতিবার আন্তমন্ত্রণালয় সভার আহ্বান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর উপকণ্ঠে গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে শীতের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে গেল দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালে। দুই বছর বিরতির পর আবার ২০২২ সালের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
তাবলিগের মুরব্বিরা জানান, ২০২২ সালের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের জন্য অনেক দিন থেকেই কথা বার্তা চলছিল। এ জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৬, ৭, ৮ জানুয়ারি (শুক্র, শনি ও রোববার) প্রথম পর্ব এবং চার দিন বিরতি দিয়ে ১৩, ১৪, ১৫ জানুয়ারি (শুক্র, শনি ও রোববার) দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদের একটি বক্তব্যকে ঘিরে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। কয়েক বছর আগে প্রথমে নিরাপত্তার কারণে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছিল। বর্তমানে ইজতেমা আয়োজনে দুটি গ্রুপ তৈরি হওয়ায় আলাদাভাবে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি গ্রুপ ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারী এবং অপরটি মাওলানা যোবায়ের অনুসারী।
মাওলানা সাদ অনুসারী মাওলানা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘করোনার কারণে দুই বছর ইজতেমা আয়োজন করা যায়নি। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তাই আগামী বছরের জানুয়ারির ৬, ৭, ৮ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৩, ১৪, ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এখানে মূল সমস্যা কারা প্রথম পর্বে এবং কারা দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা আয়োজন করবে। আমরা প্রথম পর্বে ইজতেমা আয়োজন করতে চাই।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইজতেমার প্রস্তুতি বিষয়ক একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই বিশ্ব ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান একই কথা জানান।