ঢাকার গাবতলীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ আল সাদ নামে এক ছাত্রকে ধাক্কা দেয় সেলফী পরিবহনের একটি বাস। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে ২০টি গাড়ি আটকে রাখে শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। পরে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয় বলে মালিকপক্ষ দাবি করেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে বাসগুলো আটকানোর পর প্রায় তিন ঘণ্টা রাস্তার পাশে থামিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে মালিকপক্ষের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ সময় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা হলে বাসগুলো ছাড়া হয় বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ।
ভুক্তভোগী ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত শিক্ষার্থী।
আব্দুল্লাহ আল সাদ সংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাবতলী থেকে সেলফী পরিবহনের বাসে উঠতে গেছিলাম। তখন জাহাঙ্গীরনগর যাব বললে আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। তখন আমি আঘাত পাই এবং আমার ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
জানা গেছে, ভুক্তভোগীর আবাসিক হলের ৪৯ ব্যাচের ছাত্ররা সেলফী পরিবহনের বাসগুলো যাত্রাপথে থামিয়ে চাবি ছিনিয়ে নেয়। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ওরফে লিটনের অনুসারী।
সেলফী পরিবহনের মালিকদের একজন বলেন, ‘ছাত্ররা আমোদের অন্তত ২০টি বাস আটকে রাখে। এতে আমাদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। উপরন্তু ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমঝোতা করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান লিটন সংবাদিকদের বলেন, ‘বাস আটকানোর ঘটনা শুনেছি। সম্যসার সমাধান হয়েছে। টাকা পয়সার ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান-হাসান বলেন, ‘সেখানে নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে। তবে বাস মালিক বা শিক্ষার্থীরা কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’