গাজীপুরে এলপি গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫), মিনারুলের বাবা মো. ফরমান মণ্ডল (৭৫), তাঁর মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও চুলার মিস্ত্রি মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মহানগরের গাছা থানার উত্তর খাইলকুর মুক্তার বাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম স্ত্রী-সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গতকাল রোববার বিকেলে বাড়ির রান্নার এলপি গ্যাস ফুরিয়ে গেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সিলিন্ডার এনে চুলায় লাগানো হয়। কিন্তু তাতেও চুলা না জ্বলায় দোকানের চুলার মিস্ত্রি শরিফুল ইসলামকে এনে মেরামত করা হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিনারুলের মা চুলা জ্বালালে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তাতে রান্নাঘরে থাকা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল, তাঁর বাবা ফরমান মণ্ডল ও শফিকুল ইসলাম দগ্ধ হন। তবে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান আরেক কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এ সময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। আগুনে তাঁদের শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গেছে। গাজীপুরের সিআইডি ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে।