সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার সংস্থাটির উপপরিচালক জেসমিন আক্তার জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মামলায় শামসুল হকের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা গোপন রেখে ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়। অপর মামলায় তার স্ত্রী শাহীন আক্তারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৪৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহার সূত্র জানা যায়, আসামি শামসুল হক ১৯৮৪ সালে রেলওয়েতে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে সর্বশেষ সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হন। ২০১৯ সালের মার্চে শামসুল হক অবসরে যান। এর আগেই দুদকে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানকালে এই রেল কর্মকর্তা সংস্থাটির কর্মকর্তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দেন। তাতে ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৭১৯ টাকা মূল্যের সম্পদ মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে তা ভোগ দখল করেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে শামসুল হকের স্ত্রী শাহীন আক্তারের মামলায় বলা হয়, অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালের ২০ জুন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সম্পদের নোটিশ জারি করেন। নোটিশের জবাবে শাহীন আক্তার ১ কোটি ৬৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের ঘোষণা দেন। কিন্তু তার রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।