নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এই সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এর ফলে আগামী ৫ জুন নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ৭ জানুয়ারি ভোট হয়। এতে ঝিনাইদহ-১ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাই নির্বাচিত হন। তবে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে নির্বাচনের আবেদন করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেট দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আব্দুল হাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৩ মে শুনানির জন্য পাঠান। আব্দুল হাই সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৬ মার্চ মারা যান। এতে ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। যাতে আগামী ৫ জুন ভোট হওয়ার কথা।
এদিকে নির্বাচনী আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন নজরুল ইসলাম। যা ৬ মে শুনানি হয়। ওইদিন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক বেঞ্চ ২১ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার ও নির্বাচন কমিশন।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া। নজরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। নায়েব আলী জোয়াদ্দারের পক্ষে ছিলেন বি এম ইলিয়াস কচি। আর মারা যাওয়া আব্দুল হাইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।