নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর শরীরে গরম সয়াবিন তেল ঢেলে হত্যার দায়ে স্বামী মো. মিজান সরদারকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। দুই বছর আগে রাজধানীর কদমতলী থানার খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪–এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেছেন, যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর শরীরে গরম তেল ঢেলে খুন করার এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সঠিক বিচার মৃত্যুদণ্ড। তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে তার আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার বাবুরহাট গ্রামের মৃত আওয়াল সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোছা. মীম আক্তার রুপার সঙ্গে ঘটনার প্রায় দশ বছর আগে মো. মিজান সরদারের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুটি সন্তান ছিল এবং তাঁরা কদমতলী থানার খালপাড়ের ‘ইসলাম টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় বসবাস করতেন। স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে আসামি মিজান তাঁর শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি এবং ৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি দোকান যৌতুক হিসেবে আদায় করেন।
২০২৩ সালের ৬ মে রাত ১০টার দিকে আসামি মিজান সরদার আবার রুপার কাছে অতিরিক্ত যৌতুকের টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান স্ত্রী। এ কারণে মিজান তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে সেই রাতে প্রায় ৩টার দিকে যখন স্ত্রী ও তাঁর সন্তানেরা ঘরে ঘুমাচ্ছিল, তখন মিজান সরদার একটি ফ্রাইং প্যানে গরম সয়াবিন তেল তৈরি করে স্ত্রীর ওপর ঢেলে দেন। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী ব্যথায় চিৎকার করতে করতে বাথরুমে ছুটে যান এবং শাওয়ার চালু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার এগিয়ে এসে ভুক্তভোগী ও তাঁর সন্তানদের উদ্ধার করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৯ মে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে ২৫ মে রুপা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগে রুপা ১৪ মে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেন। একই আদালতে আসামি মিজান সরদার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে পুলিশের উপপরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ একই বছরের ৩১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০–এর ১১(ক) ও ৪(২)(খ) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।
#২০১৩
পজিশন-৫
বাছেদ
ক্যাটা:
ট্যাগ: , , স্বামী, স্ত্রী, , , থানা,
মেটা:
ছবি: মোটিফ
ক্যাপ:
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর শরীরে গরম সয়াবিন তেল ঢেলে হত্যার দায়ে স্বামী মো. মিজান সরদারকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। দুই বছর আগে রাজধানীর কদমতলী থানার খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪–এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেছেন, যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর শরীরে গরম তেল ঢেলে খুন করার এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সঠিক বিচার মৃত্যুদণ্ড। তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে তার আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার বাবুরহাট গ্রামের মৃত আওয়াল সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোছা. মীম আক্তার রুপার সঙ্গে ঘটনার প্রায় দশ বছর আগে মো. মিজান সরদারের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুটি সন্তান ছিল এবং তাঁরা কদমতলী থানার খালপাড়ের ‘ইসলাম টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় বসবাস করতেন। স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে আসামি মিজান তাঁর শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি এবং ৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি দোকান যৌতুক হিসেবে আদায় করেন।
২০২৩ সালের ৬ মে রাত ১০টার দিকে আসামি মিজান সরদার আবার রুপার কাছে অতিরিক্ত যৌতুকের টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান স্ত্রী। এ কারণে মিজান তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে সেই রাতে প্রায় ৩টার দিকে যখন স্ত্রী ও তাঁর সন্তানেরা ঘরে ঘুমাচ্ছিল, তখন মিজান সরদার একটি ফ্রাইং প্যানে গরম সয়াবিন তেল তৈরি করে স্ত্রীর ওপর ঢেলে দেন। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী ব্যথায় চিৎকার করতে করতে বাথরুমে ছুটে যান এবং শাওয়ার চালু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার এগিয়ে এসে ভুক্তভোগী ও তাঁর সন্তানদের উদ্ধার করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৯ মে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে ২৫ মে রুপা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগে রুপা ১৪ মে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেন। একই আদালতে আসামি মিজান সরদার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে পুলিশের উপপরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ একই বছরের ৩১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০–এর ১১(ক) ও ৪(২)(খ) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।
#২০১৩
পজিশন-৫
বাছেদ
ক্যাটা:
ট্যাগ: , , স্বামী, স্ত্রী, , , থানা,
মেটা:
ছবি: মোটিফ
ক্যাপ:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভা চলছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে সভাটি শুরু হয়। কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করছেন। সভা কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
১৮ মিনিট আগেবাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে রেখেই এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হলো খাইরুল বেপারী নামের এক শিক্ষার্থীকে। আজ বুধবার সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় সে।
২৩ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রতীকী আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিট হরাইজন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক এই মহাসড়ক অবরোধ করেন।
১ ঘণ্টা আগে