পদ্মা সেতু চালুর পর ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখরিত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে কমপ্লেক্স। আজ সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষের পদচারণ বাড়তে শুরু করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে এসে দর্শনার্থীরা তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা শেখ সায়েরা খাতুনের কবর জিয়ারত করেন। অনেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, হিজলতলা চত্বর, বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালের খেলার মাঠ, বকুলতলা চত্বর, পুকুর চত্বর, পাবলিক প্লাজা, সমাধিসৌধ মসজিদ, বঙ্গবন্ধু সংগ্রহশালা, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, খোলা মঞ্চ ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের সবুজ বনানীর ছায়া তলে বিভিন্ন চত্বরে বসে সময় কাটান। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ঈদের ছুটিতে সময় কাটাতে পেরে বিভিন্ন বয়সের মানুষ উচ্ছ্বসিত ও উদ্বেলিত।
ঢাকার হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী পূর্বা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা। তাঁর জন্য আমরা আত্মপরিচয় পেয়েছি। ঈদের ছুটিতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি গর্বিত।’
ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী নিকিতা বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এই প্রথম এসেছি। পাঠ্যবইতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আজ টুঙ্গিপাড়ায় ইতিহাসের কাছাকাছি এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে পেরেছি।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হয়েছে ঈদের আগে। ঈদে এর প্রভাব পড়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের দূরবর্তী জেলা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসছেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। তাঁর জন্য দোয়া করছেন।
মো. বাবুল শেখ আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে গত ঈদের তুলনায় এই ঈদে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে দর্শনার্থীর সমাগম অনেক বেশি।