ফরিদপুর-৩ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে আজাদ (এ কে আজাদ) বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ কে আজাদ মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম হক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।
ফরিদপুরের চারটি আসনের মধ্যে এই আসন নানা কারণে আলোচিত ছিল। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে অভিযোগ এনে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। শামীম নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বলে অভিযোগ আনেন তিনি।
এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন শামীম। ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাঁর আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে তিনি আবেদন করেন। ওই দিন চেম্বার আদালত তাঁর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন। এরপর এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন এ কে আজাদ।
যে আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল, ওই দিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ‘নট দিস উইক’ (শুনানি এ সপ্তাহে নয়) আদেশ দেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশালের শাম্মী আহমেদ এবং সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা আপিলে গিয়েও বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু শামীম হকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকে।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে কর্মী-সমর্থকদের ওপর বিভিন্ন সময় শামীম হকের লোকজন ও পুলিশ প্রশাসন নানাভাবে হয়রানি করছে বলে কয়েক দিন আগেই সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন এ কে আজাদ। এর মধ্যে গতকাল শনিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শামসুল হকের ওপর হামলা করা হয়। সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মোমিনখার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।