বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিত নাশকতা বলে দাবি করেছে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতের ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ দাবি করেছে তারা। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটা কক্ষটি সমিতির কার্যালয়।
বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিসিটিভির সংগৃহীত ফুটেজে দেখা যায়- ২৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত অনুমান ২টা ৩০ মিনিটের দিকে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক, পায়ে স্যান্ডেল পরিহিত অবস্থায় মোজা পরা ও হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরা আনুমানিক ২৫-৩০ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজন যুবক বিয়াম ভবন মাঠের পশ্চিম দিক থেকে এসে সিঁড়ি দিয়ে পঞ্চম তলায় চলে যান এবং ওই তলার সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন।
এতে আরও বলা হয়, ‘কিছুক্ষণ পরে ৫০৪ নম্বর কক্ষে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। কয়েক মুহূর্ত পরে উক্ত ব্যক্তি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলায় একটি খোলা কক্ষে প্রবেশ করে দেয় এবং সেখানে সে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে নিরাপদে বিয়াম ভবন ত্যাগ করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয় যে- এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা। আমরা এই নাশকতার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং দ্রুত দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে কর্মরত এবং সাবেক সদস্যদের আবাসিক সমস্যাসহ অন্যান্য আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নকল্পে ২০০৭ সালে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড গঠন করা হয়। বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনের ৫০৪-৫০৭ নম্বর কক্ষ দুটি সমিতির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে ৫০৪ নম্বর কক্ষে রাখা সমিতির দলিলপত্র, নামজারি সংক্রান্ত কাগজপত্র, ব্যাংক হিসাবের চেক বই, এফডিআর, বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গ সমিতির জমি ক্রয় সংক্রান্ত ৪টি দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিপত্র, ভূমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রাপ্ত পে-অর্ডার, রেজিস্ট্রার, ৪টি কম্পিউটার, ৪টি প্রিন্টার, ১টি ফটোকপিয়ার মেশিন, ২টি স্ক্যানার, আসবাবপত্র, কক্ষের এসি, দরজা জানালার কাঠ ও থাই গ্লাস ভস্মীভূত ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।
ওই ঘটনার ৫০৭ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত অফিস সহায়ক মো. আব্দুল মালেকের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনের উত্তর দিকের রান্নাঘরের পার্শ্বে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ দুর্ঘটনায় চালক ফারুক অগ্নিদগ্ধ হন। অগ্নিদগ্ধ চালককে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।