নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ব্যাচ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা আমরণ অনশন করছিলেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে সচিবালয়ের সামনে ওসমানী উদ্যান-সংলগ্ন রাস্তায় অনশনে থাকা এসআইদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ সময় তাঁদের ওপর জলকামান নিক্ষেপসহ গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে। এতে অনশনে থাকা অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ তিন নারী এসআই অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেন। তবে আজ বুধবার অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা তাঁদের সব কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
কর্মসূচির বিষয়ে আজ বিকেলে সুবীর রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের বাধার মুখে আমরা আমাদের সব কর্মসূচি স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে আলোচনা করে আমরা কোনো কর্মসূচি দিলে তা সকলকে জানাব।’
রাতের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনশন কর্মসূচি পালন করছিলাম। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকেই আমাদের উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে প্রশাসন। পরে রাত ১টার দিকে জলকামান নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের তিনজন নারী সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জলকামান নিক্ষেপসহ আমাদের গায়েও হাত তোলেন।’
এর আগে গত সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সচিবালয়ের সামনে অনশনে বসেন ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ব্যাচ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা। গতকাল দিনভর অনশন পালন করেন তাঁরা। তবে রাত ১১টার দিকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ পিকআপ ভ্যান রাখা হয়। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআই রাশেদ খান মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনশন কর্মসূচি পালন করছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পুলিশ আমাদের চলে যেতে চাপ দিচ্ছিল। রাত পৌনে ১টার দিকে জলকামান ব্যবহার করে আমাদের ওপর পানি ছিটিয়ে আমাদের অনশনস্থল থেকে সরিয়ে দেয়।’
তিনি আরও জানান, কয়েকজন মেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের রাত ৯টা থেকে বলা হয়েছে সচিবালয়ের সামনে থেকে সরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা যায়নি। পরে তাদের বুঝিয়ে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো জলকামান ছোড়া হয়নি।’