অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলার বৈধতা নিয়ে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীর পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ আজ রোববার এ রায় দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং আইনের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক আসামি। পলাতক থাকায় তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। এমনকি নিম্ন আদালতেও পলাতকদের পক্ষে আইনজীবী থাকার সুযোগ নেই। আর আপিল বিভাগ সম্প্রতি এক রায়ে জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন। এ কারণে হাইকোর্ট দুই পলাতক আসামির রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আর বিচারিক আদালতকে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীর পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।