Ajker Patrika

আওয়ামী লীগকে কেউ তাড়ায়নি, তারা পালিয়েছে: শফিকুর রহমান

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
ভেদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের পথসভায় ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভেদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের পথসভায় ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না, আওয়ামী লীগও শিক্ষা নেয়নি। তারা দেশের মানুষের ওপর জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সেই সম্পদ পাচার করে বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে। এসব অপকর্ম করে অবশেষে তারা দেশ থেকে পালিয়েছে। তাদের কেউ তাড়ায়নি।’

আজ সোমবার শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা ও পৌর জামায়াত এ পথসভার আয়োজন করে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের অনেক নেতাকে প্রহসনের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। ওই প্রহসনের শিকার জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে বন্দী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে দ্রুত মুক্তি দিন। আমাদের ভাই আজহারুলকে মুক্তি দিলে একজন মজলুম মুক্তি পাবে। তা না হলে আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘টানা সাড়ে ১৫ বছর আমাদের ওপর জুলুম চলেছে। আমরা আন্দোলন করেছি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর জন্য। আমরা রাজনীতিবিদেরা তাদের সরাতে পারিনি। আমাদের ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।’

যুবকদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘সমাজ গড়ার জন্য ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যুবকেরা এগিয়ে এলে বিপ্লব সফল হয়।

জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান, জেলা আমির মুহা. আবদুর রব, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

শফিকুর রহমান এরপর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কোড়ালতলী গ্রামে জামায়াত নেতা বেলাল হোসাইনের বাড়ি যান। সেখানে তাঁর কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন। বেলাল হোসাইন ২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের গুলিতে মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত