রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার এফডিসি-সংলগ্ন মোল্লাবাড়ি বস্তিতে লাগা আগুনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে আরও চার-পাঁচজন। দগ্ধদের মধ্যে নাজমা ও তাঁর দুই বছরের ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই আগুনে প্রায় ৩০০ ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট অথবা গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে নাজমা ও তাঁর দুই বছরের ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভোরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বস্তিতে সাধারণত গ্যাস লিকেজ কিংবা শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত হয়ে থাকে। এই বস্তিতেও একই কারণে আগুন লেগেছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারব আসলে কী কারণে আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। পরিবারের দাবি অনুযায়ী লাশ শনাক্তকরণের কাজ চলছে।’ এ সময় তিনি জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০০ ঘর পুড়ে গেছে। তেজগাঁও রেলগেট-সংলগ্ন বস্তিটি মোল্লাবাড়ি বস্তি নামে পরিচিত। এফডিসির দেয়ালঘেঁষা বস্তিটিতে প্রায় ৪০০ ঘর ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এফডিসির দেয়ালের পাশ দিয়ে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন টের পাই। এরপর কোনো রকমে এক কাপড়ে বের হয়ে যাই। ঘরের কোনো কিছুই বের করতে পারিনি।’
মুসা নামের কিশোরগঞ্জের এক ব্যক্তি জানান, তিনি এই বস্তিতে ১৭ বছর ধরে ভাড়া থাকেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি ঘরের প্রতিটি কক্ষ তিনি ভাড়া দিতেন ৪০০০ টাকায়। তিনি বলেন, ‘সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। আগুনের কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। অগ্নিকাণ্ডের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসের নির্মাণশ্রমিকেরা টিনের ওপর পাথর মেরে সবার ঘুম ভাঙান।’