ঢাকার আশুলিয়া গোমাইল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১১ জনের দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন সোয়াইদ (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেল চারজন।
আজ শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সোয়াইদ।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, সোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে ভর্তি ছিল। সেখানেই মারা যায় সোয়াইদ।
চিকিৎসক আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনজন ভর্তি রয়েছে।
এর আগে সোয়াইদের মা শারমিন (৩২), বাবা সুমন রহমান (৩৫) ও শারমিনের ননদ শিউলী আক্তারের (৩২) মৃত্যু হয়। আজ মারা গেল শারমিনের ছেলে সোয়াইদ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আশুলিয়া গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়াবাসায় দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন সূর্য বেগম (৫০), তাঁর ছেলে সোহেল (৩৮) ও সুমন রহমান (৩৫) এবং মেয়ে শিউলী আক্তার (৩২)। আর সুমনের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩২), ছেলে সোয়াইদ (৪) ও মেয়ে সুরাইয়া (৩ মাস)। শিউলীর স্বামী মনির হোসেন (৪০), দুই ছেলে ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ও মাহাদী (৭)। সুমনের ফুফু জহুরা বেগম (৭০)।
প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের। ওই বাসার দোতলায় ভাড়া থাকেন সুমন-শারমিন দম্পতি। ঘটনার পর খবর পেয়ে দ্রুত ওই বাসায় গিয়ে তিনি তাদের দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর ধারণা, সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা আগে থেকে চালু ছিল। তখন দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। কেউ একজন রান্না করতে গিয়ে আগুন জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকেন। বোন শিউলী থাকেন নবাবগঞ্জ দীঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকেন মুন্সিগঞ্জে। সোহেল থাকেন গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিকসে কাজ করেন, আর সোহেল একটি কোম্পানিতে। মনির স্যানিটারির ব্যবসা করেন।
মাসুদ আরও বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে শুক্রবার সবাই সুমনদের বাসায় যায় বেড়াতে। রাতে রুটি-পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালালে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।