রাজধানীর দক্ষিণখানে পারিবারিক কলহের জেরে পারভিন (৩০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এই দাবিতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী জামিনুর রহমান (৩৫)। গত বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার নিহত ব্যক্তির বাবা জহির উদ্দিন বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানা জামিনুর রহমানের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। আত্মসমর্পণের পর ওই মামলায় জামিনুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি।
দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজগর আলী আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত পারভিন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর স্বামী গ্রেপ্তার জামিনুর রহমান নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাওয়ালি বিন্নি গ্রামের মৃত আব্দুল রহমানের ছেলে।
এসআই আজগর আলী বলেন, ‘পারভিনের পূর্বের সংসার ছিল। সেই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী জামিনুর রহমানেরও সংসার ও সন্তান রয়েছে। তাঁরা দক্ষিণখান বাজারের স্টার অ্যাপারেলস লিমিটেড গার্মেন্টে চাকরি করতেন। সেই সূত্রে তাঁদের পরিচয়। তারপর পবিত্র কোরআন শরিফে হাত রেখে বিয়ে করেন তাঁরা।’
এসআই আরও বলেন, দুই মাস আগে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ায় বাসা ভাড়া নেন তাঁরা। সাংসারিক খরচের টাকা নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া লাগত। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জামিনুর শিলপাটা দিয়ে পারভিনের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই পারভিনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জামিনুর রহমান দক্ষিণখান থানায় এসে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি জানালে তাঁকে আটক করে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পারভিনের মাথায় তিনটি ও মুখে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই জানান, জামিনুর রহমানকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হয়। তিনি দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।