কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ধান পাকতে আরও ১৫ দিনের বেশি সময় লাগবে। শেষ সময়ে এসে আবহাওয়ার বৈরীভাবের কারণে শঙ্কায় আছেন হাওরের কৃষকেরা।
আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের আসাম এবং মেঘালয় রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেখানে ভারী বৃষ্টি হলে সেই পানি ভাটিতে ধনু ও বাউলাই নদী দিয়ে সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা হয়ে ঢুকবে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে।
আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে নতুন করে উজানের ঢল আসার কথা শুনে কিছু কাঁচাপাকা ধান কাটছেন কিছু কৃষক।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, আগাম বন্যা থেকে হাওরের ফসল রক্ষায় তাঁদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।
গত সপ্তাহে উজানের ঢলে হাওরের নদীগুলোর পানি বেড়েছিল। তবে এখন কিছুটা কমতির দিকে। উজানের ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলী, বাজিতপুর, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার নদী অববাহিকার ৩৫০ হেক্টর বোরো খেত প্লাবিত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কয়েকশ কৃষক।
গত সপ্তাহের উজানের ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ৭৩টি ফসল রক্ষা বাঁধের একটিও ভাঙেনি। আগাম বন্যা থেকে হাওরাঞ্চলের কৃষকের ফসল রক্ষায় সব প্রস্তুতি আছে। আজকের পত্রিকাকে এমনটিই জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগাম বন্যা থেকে ফসল বাঁচাতে ৮০ শতাংশ ধান পাকতেই কর্তন করে ফেলার জন্য আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি। আর কয়েকদিন সময় পেলে ধান কৃষকের গোলায় উঠবে। সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি ধান কর্তনের জন্য হাওরে শতাধিক কম্বাইন্ড হারভেস্টার রয়েছে। এ মেশিনে একসঙ্গে কাটাই, ঝাড়াই, মাড়াই হয়ে বস্তাবন্দি করা যায় দ্রুত সময়ে। শ্রমিক লাগে খুবই কম।’
কৃষি বিভাগের হিসাবে, চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হাওরাঞ্চলেই আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর।