দুর্ঘটনা অথবা অন্য কোনো কারণে হঠাৎ উড়োজাহাজে আগুন ধরতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে এবং কত দ্রুততার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা যায় তারই একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রতি দুই বছর পরপর যে মহড়া করার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে তারই অংশ হিসেবে রোববার (২ জুন) এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, সভাপতি ছিলেন সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর এ এফ এম আতিকুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, এই বছরই বাংলাদেশে আইকাও–এর অডিট হবে। এই অডিটে আমরা কীভাবে এই ধরনের কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করি, পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে তারা সেগুলো দেখবে। এ ছাড়া আমরা এটাকে বাস্তবে কীভাবে করছি, আমরা সঠিকভাবে মহড়া করছি কিনা, যারা অংশগ্রহণ করছে তারা কীভাবে অপারেশন করছে, এই ইউনিটের যে বিভাগগুলো আছে সেগুলো তারা প্রত্যক্ষ করবে। সে জায়গায় আজকের মহড়াটা খুব টাইমলি ছিল এবং খুব সুন্দরভাবে এটাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা মহড়ার আয়োজন সমন্বয় করেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
মহড়ায় দেখানো হয়, ৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ডান পাশের ইঞ্জিনে আগুন লাগে এবং তখনই শুরু হয় বিমানের আগুন নেভানো ও যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়াতে যোগ দেয় সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স টিম, বিমানবাহিনীর টিম এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের টিমসহ নানা সংস্থার সদস্যরা।