টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে করোনার টিকা নিতে এসে আহত স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত মেধাবী স্কুল শিক্ষার্থী মো. সোহাগ মিয়া (১৪) উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ভ্যানচালক মো. নূর নবীর ছেলে। সে পানকাতা হাতেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।
গতকাল মঙ্গলবার গোপালপুর-ধনবাড়ী ভায়া পানকাতা সড়কটি অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘আমার ভাই মরল কেন? জবাব চাই, জবাব চাই?’
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত রোববার ছিল পানকাতা হাতেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নেওয়ার তারিখ। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অটো-রিকশা করে উপজেলা পরিষদে যাচ্ছিল। ওই দিন পৌর শহরের বান্দ্রা মোড়ে সোহাগদের অটো-রিকশা পৌঁছালে বেপরোয়া গতির একটি অটোভ্যানের সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এতে সোহাগের মাথায় আঘাত লেগে রক্ত ক্ষরণ হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে তিন দিন পাঞ্জা লড়ে গতকাল মঙ্গলবার মারা যায়।
এদিকে নিহত সোহাগ মিয়ার বড় ভাই মো. আল-আমিন বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের মরদেহ গত মঙ্গলবার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটানোর পর থেকে অটোভ্যান চালক পলাতক রয়েছে।’
পানকাতা হাতেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘মেধাবী শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া ধনবাড়ী উপজেলা সদরে টিকা নিতে যাওয়ার পথে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকায় মারা যায়। এ ঘটনায় আমি নিন্দা-প্রতিবাদ এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে অবহিত করেছে এবং মানববন্ধনের বিষয়টিও আমাকে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চান মিয়া বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি।