ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী মো. আবু বকর সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের রায় চ্যালেঞ্জ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ বছর আগের ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করলে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১২ সালে হাইকোর্ট বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ১২ বছর আগের হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চআদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আপিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়।
আবু বকর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর তিনি মারা যান। ওই সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে’ আপিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১০ সালে স্যার এ এফ রহমান হলে একটি ছাত্র সংগঠনের বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় নিজ কক্ষে অবস্থানকালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৎকালীন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আবু বকর সিদ্দিক মারাত্মকভাবে আহত হন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎকাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।’
উচ্চআদালতে আপিল করার মাধ্যমে আবু বকর সিদ্দিক হত্যার বিষয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হবে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালের ২ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ১০ জন ছাত্রকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত ছাত্রদের মধ্য থেকে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ডিভিশনে পৃথক রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশন ২০১২ সালে বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করে বাদীদের পক্ষে রায় দেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চআদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।