নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বরপা আরিয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালানো বাড়ি থেকে তিনটি বোমা উদ্ধারের পর তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।
এর আগে সকাল থেকেই জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছিলেন সোয়াত ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) সদস্যরা।
বেলা দেড়টায় অভিযান শুরু হওয়ার পর বিকেল ৪টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এক সদস্যকে একটি লাল বালতিতে বোমাসদৃশ বস্তু নিষ্ক্রিয় করার জন্য ভবনটির পাশে খালি স্থানে এনে রাখতে দেখা যায়। পরে পৌনে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের খালি স্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এটিইউ পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভেতরে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো নিরাপদে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’
এর আগে তিনি বলেন, গত ৮ ও ৯ জুন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্যমতে গতকাল সোমবার কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে আজ রূপগঞ্জের বরপা আরিয়াব এলাকায় চারতলা ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। এই বাড়িতে একজন বোমা বিশেষজ্ঞ বসবাস করেন।
এদিকে অভিযানের আগে বাড়ির সব সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। বাড়িটির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বাইরে বোমা বিস্ফোরণের পর এর ভেতরে প্রবেশ করেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কর্মকর্তারা।
শাহনেওয়াজ নামে বাড়ির এক ভাড়াটিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযান চালানো ফ্ল্যাটে তিন মাস আগে এক ব্যক্তি ভাড়া ওঠেন। তিনি দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন। তিন দিন ধরে ওই ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ বলে জানান তিনি।
এর আগে ৮ জুন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে ২৯ ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন অস্ত্র, গুলিসহ প্রায় ৮০টি আলামত জব্দ করা হয়।