সাত বছর আগে ঢাকার দোহারের সুতারপাড়া ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে কিশোরীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিপি এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনামিয়ার ছেলে।
আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।
২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের খেত থেকে সবজি আনতে যায় ওই কিশোরী। সেখান থেকে ফেরার পথে সকাল পৌনে ১০টার দিকে একই গ্রামের জিয়াউর রহমান ওই কিশোরীকে পাশের একটি খেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি ধারালো অস্ত্র (ছুরি) দিয়ে গলা কেটে কিশোরীকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা দোহার থানায় মামলা করেন। মামলাটি করে তদন্ত করে দোহার থানার এসআই সৈয়দ মেহেদী হাসান আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্তকালে আসামি জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বিচার চলাকালে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন তিনি।