রমজান মাসে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকেও সসম্মানে মনে রাখতে হবে। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই বিষয়টিকে মূল প্রতিপাদ্য করে আমাদের বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে হবে। একই সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ বুধবার বিকেলে চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদ্যাপনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে উপাচার্য এ আহ্বান জানান।
উপাচার্য বলেন, ‘চারুকলা তার বিশেষ ঐতিহ্যকে ঘিরে দীর্ঘদিন পরে বেশ প্রাণচাঞ্চল্যরূপে ফিরে আসছে। বৈশ্বিক মহামারির কারণে বিগত দুই বছর সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদ্যাপন করতে হয়েছিল। এ বছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নববর্ষ উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। প্রতিবছর নববর্ষকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা যেভাবে আমাদের সাথে তাদের শিল্পকর্মকে ফুটিয়ে তোলে এ বছর আবারও তারা তা করতে সক্ষম হলো।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিল্পকর্মগুলো তৈরির কাজে নিয়োজিত। এটি হলো মূলত অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ড ও উদ্ভাবন। উৎসব সকলের জন্য! এ হিসেবে এই যাত্রায় আছে অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক আবেদন। যা সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ জানান।
এর আগে উপাচার্য চারুকলা অনুষদের করিডরে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য দুদিনব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। চারুকলার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান 'মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্রের উদ্যোগে ২৬ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে এক কর্মশালার মাধ্যমে এই পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় টিএসসি সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা স্মৃতি চিরন্তন হয়ে পুনরায় টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে। ইউনেসকো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।