দুই ধাপের ছয় দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত আগামীকাল রোববার সকাল ৯টার মধ্যে হওয়ার কথা রয়েছে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া ও ইজতেমা শেষে বাড়ি ফিরতে মুসল্লিদের যাতায়াতে সুবিধার্থে ৯টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ।
বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা—এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ছাড়া টঙ্গী স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগরা বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর-নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত সড়কে আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এ ছাড়া টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ সড়কেও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিরা ময়দান ত্যাগ করার পর সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ী হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগরা বাইপাস থেকে ৩০০ ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ সময় এসব সড়ক হয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি বা যান চলতে দেওয়া হবে না। তবে ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে জানান তিনি।
৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা তিন ধাপে হচ্ছে। আগামীকাল রোববার প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত। ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমার এবারের আসর। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের কাছে ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।