দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলার চারটি আসনে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নারী। নির্বাচনে জয় পেতে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এসব নারী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থিতা করা এই তিন নারী প্রার্থী হলেন বাগেরহাট-২ (কচুয়া ও বাগেরহাট সদর) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মরিয়ম সুলতানা (সোনালী আঁশ), বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী লুৎফর নাহার রিক্তা (সোনালী আঁশ)।
বাগেরহাট-৩ আসনে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তিনবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তাঁকে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদারসহ ছয়জন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। ভোটাররা মনে করছেন, এবার হাবিবুন নাহারের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ইদ্রিস আলী ইজারাদারের। তবে জয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদী হাবিবুন নাহার ও তাঁর সমর্থকেরা।
এদিকে বাগেরহাট-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির মরিয়ম সুলতানা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময়সহ ছয়জনের সঙ্গে। এবারই প্রথম সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এর আগে কখনো প্রকাশ্য রাজনীতিতে দেখা যায়নি মরিয়মকে। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করছেন তিনি। তবে সাধারণ মানুষের ধারণা, ভোটের মাঠে তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না নতুন এই প্রার্থী।
অন্যদিকে বাগেরহাট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির লুৎফর নাহার রিক্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ ছয়জনের সঙ্গে। এই নারীও এবার প্রথম সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও, এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টানিয়েছেন তাঁর সমর্থকেরা। লিফলেট বিতরণ এবং ভোটারদের কাছেও যাচ্ছেন তিনি।