যশোরে ভুয়া অন্তঃসত্ত্বা সার্টিফিকেট বানিয়ে স্কুলছাত্রীর হবু বরের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দিয়েছেন এক যুবক। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে মেয়েটির পরিবার। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামি পালাতক রয়েছেন।
গতকাল সোমবার যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলার পর পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রধান আসামি আলিফকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শহরতলির ধোপাখোলা পশ্চিমপাড়ার পলাশ হোসেন (৩৪), মালঞ্চি এলাকার আল আমিন (১৯) এবং মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা মুড়াগাছা গ্রামের মিলন কুমার দাস (২৮)।
মামলার বাদী স্কুলছাত্রীর বাবা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তাঁর মেয়ে (১৬) এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত শনিবার (৪ জুন) বিকেলে তাঁর বাড়িতে পাত্রপক্ষ আসে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। যেহেতু মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক তাই দুই বছর পর বিয়ে হবে বলে দুই পরিবারের মধ্যে কথা পাকাপাকি হয়। বিয়ের কথা জানতে পেরে আসামি আলিফ ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। আগে থেকেই তাঁর মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করেন। তাঁর মেয়ের হবু স্বামীর মোবাইল ফোনের নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করেন এবং ২ জুন ভুয়া আলট্রাসনোগ্রাফি ও প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পাঠান। সেখানে বলা হয়েছে তাঁর মেয়ে ৭ সপ্তাহ ৩ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবিও পাঠিয়েছেন।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, বিষয়টি ঘটকের মাধ্যমে জানতে পেরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাকে যশোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে আসামিদের কারসাজি ধরা পড়ে। থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন তিনি। মামলার এজাহারে মেসেঞ্জারে লেখা আপত্তিকর কথার স্ক্রিনপ্রিন্ট এবং ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট সংযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়বালা জানিয়েছেন, মামলার পর সোমবার মালঞ্চি এলাকা থেকে পলাশ, আল আমিন ও মিলন কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মূল আসামি আলিফকে আটক করা যায়নি। তাঁকেও শিগগিরই আটক করা হবে বলে জানান তিনি।