খুলনার ডুমুরিয়ায় পরকীয়ার টানে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে যেয়ে রীতিমতো জনতার আদালতে ফেঁসে গেলেও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করায় দুই মেম্বরসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা–পুলিশ। রোববার আন্দুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার টানে এবং দাওয়াত খাওয়ার ভান করে উপজেলার একটি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী স্ত্রীর ঘরে ঢোকে পাশের গ্রাসের এক যুবক। রাত ৯টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় ওই নারী ও যবককে হাতে নাতে ধরে স্থানীয় জনগণ। এ দিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই নারীর এলাকার গাজী মনিরুজ্জামান ও আব্দুল হক আকুঞ্জীর মেম্বারের নেতৃত্বে এক সালিসী বৈঠক বসে। ওই নারীর ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে যবকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে উভয়ের অভিভাবকের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। এ দিকে ওই নারীর ঘরে ঢোকা যুবকের ভাই মকুল বাদী হয়ে দুই মেম্বরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করেন।
এ প্রসঙ্গে রঘনুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সিকদার এনায়েত হোসেন বলেন, এই ঘটনার টাকা মামলার পলাতক আসামি মুন্না আকুঞ্জির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। ২ লাখ টাকার একটি চেক এবং তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয় গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্য গাজী মনিরুজ্জামানের বাড়ি থেকে। এ ছাড়া মামলার আরও দুই আসামি ইউপি সদস্য আব্দুল হক আকুঞ্জী ও রাসেল গাজী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি মেম্বরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।