জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘ভোক্তার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করার পরেও ব্যবসায়ীরা অনেক সময় ভ্যাটের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেন না। আমাদের সবাইকে আইন মানার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খুলনা বিভাগের সব বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্বাজেট মতবিনিময় সভা হয়। এতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের জিডিপির আকার বিবেচনায় রাজস্ব আদায় অনেক কম। অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে রাজস্ব আদায়ের গুরুত্ব অনেক। আয়করের চেয়ে পরোক্ষ কর ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ বেশি হওয়া অনুচিত। কারণ, ধনী-দরিদ্র সবার ওপর এটি প্রযোজ্য। অনেক সময় ভোক্তার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করার পরেও ব্যবসায়ীরা ভ্যাটের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দেন না। আমাদের সকলকে আইন মানার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর হতে সেবা পেতে নাগরিকদের আয়কর দেওয়ার প্রমাণক জমা দিতে হয়। সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোকেও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সেবাপ্রত্যাশী ব্যক্তির আয়কর প্রদানের নথিপত্র যাচাই করে সেবা প্রদান করা প্রয়োজন। প্রতিটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে রাষ্ট্র উপকৃত হবে কি না সেটি ভাবতে হবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে বিগত দু-তিন মাসে ৮-১০টা আইটেমে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরের ওপর শুল্ক অনেক কমানো হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে জনগণের প্রয়োজনকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাংগীর হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. বেলায়েত হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।