শেরপুর সদরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা উচ্চবিদ্যালয়ে এ সংঘর্ষ ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম হারেজ আলী (৪০)। তিনি হরিণধরা গ্রামের মৃত শরাফত আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, হরিণধরা উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে হরিণধরা গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিবাদ ও আদালতে মামলা চলছে। আদালত শান্তি বজায় রাখার জন্য কমিটির কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল, অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মুক্তাসহ অন্যরা বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে এক সভা আহ্বান করেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. হারেজ আলী বেআইনিভাবে সভা করার প্রতিবাদ করলে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। তখন হারেজের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে শেরপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে এখন পর্যন্ত পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।