নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ভিজিএফের চাল জব্দের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিগগির জমা দেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে দশটায় কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার মেদির বিলে ভিজিএফের ১২৭ বস্তা চাল ভর্তি একটি নৌকা জব্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) লতিফুর রহমান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে এটি মামলায় পরিবর্তিত হয়।
পরে, ঘটনাটি তদন্তে গত ১৮ জুলাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে, নির্ধারিত সময় পার হলেও নানা সমস্যার কারণে যথাসময়ে প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন বলেন, ‘আমি হজে থাকায় ওই সময় পাশের উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসে আমি দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ কারণে একটু দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট অনেককে খুঁজে পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ফলে অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে গেছে। এখন তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে আগামী রোববার আলোচনা করে শিগগির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে দশটায় কলমাকান্দার সদর ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার মেদির বিলে ভিজিএফের ১২৭ বস্তা চাল ভর্তি একটি নৌকা জব্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় নৌকার মাঝি জজ মিয়া জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়। এই ঘটনায় খারনৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল হকের নামে মামলা করা হয়। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় প্রশাসন।
এদিকে, ট্যাগ অফিসার একাডেমিক সুপার ভাইজার মুহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এদিন খারনৈ ইউনিয়নে উপস্থিত থেকে ভিজিএফের ১৩০০ বস্তা চালের মধ্যে ১২৭০ বস্তা বিতরণ করে এর প্রত্যয়ন দেন। চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল হক এ ঘটনাকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন।
