নেত্রকোনার আটপাড়ায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোশাররফ হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের দশভাগিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোশাররফ হোসেন উপজেলার দশভাগিয়া গ্রামের মৃত কাশেম ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত শাহ আলম (৩৫) একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তার চৌধুরীর ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শাহ আলম নামের এক যুবক একই গ্রামের স্কুলপড়ুয়া এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মোশাররফ এর প্রতিবাদ করায় তাঁদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। ঘটনার ১০ দিন আগে শাহ আলম প্রকাশ্যে মোশাররফকে হত্যার হুমকি দেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে কয়েল কিনতে গ্রামের দোকানে যান। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা শাহ আলম ছুরি দিয়ে মোশাররফের গলার পেছন দিকে আঘাত করে পালিয়ে যান।
উপস্থিত লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে সেখান থেকে মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার রসুল মিয়া বলেন, ‘মোশাররফ আমার দোকানে কয়েল কিনতে এলে শাহ আলম হঠাৎ ছুরি বের করে তার গলায় আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহ আলমের মোবাইল ফোনে কল করা বন্ধ পাওয়া যায়।
আটপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’