চাঁদা না পেয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় যুবদল নেতা ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মো. শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। এতে ১০ ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম জসিম উদ্দিন, তিনি উপজেলার পানুর গ্রামের বাসিন্দা। জসিম উদ্দিন পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ খোকন একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোহনগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্যসচিব। ১৪ মার্চ চাঁদার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে কোপানোর অভিযোগে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন যুবদল নেতা খোকন। প্রায় সময় ১০ হাজার টাকা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। টাকা দেওয়া বন্ধ করায় গত ১১ জানুয়ারি মোহনগঞ্জের বিরামপুর বাজারে জসিম উদ্দিনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন খোকন ও তাঁর সহযোগীরা।
স্থানীয় লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ওই সময় জসিম রক্ষা পান। তবে মামলা না করার হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। পরে খোকনের হুমকি থেকে বাঁচতে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে রক্ষা পান জসিম।
সম্প্রতি আবার ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন খোকন। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে ক্ষিপ্ত হন তিনি। ১৪ মার্চ বিকেলে পৌর শহরের পাথরঘাটা এলাকায় ইফতারি কিনতে গেলে খোকনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন জসিমের ওপর হামলা চালান। রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জসিমকে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ওই দিন রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার হলে যুবদলের সদস্যসচিবের পদ থেকে খোকনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাঁদা দাবির বিষয়টি মিথ্যা, বানোয়াট। জসিম আওয়ামী লীগের দোসর। তাঁর ওপর হামলা কারা করেছে, জানি না। তিনি সম্প্রতি বিএনপিতে ভিড়তে চেষ্টা করছিলেন, আমি তাতে বাধা দিয়েছি। এই প্রতিহিংসায় আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
