প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে কোনো দিকে লক্ষ না করে শাবল দিয়ে এক নিশানায় মাটি খুঁড়ে যাচ্ছে একদল মানুষ। উদ্দেশ্য, মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যেতে পারে স্বর্ণ। তাই কোনো দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে চলছে মাটি খনন। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার একটি ইটভাটায়।
রাণীশংকৈল সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাচোর ইউনিয়নের রাজোর এলাকায় অবস্থিত আরবিবি ব্রিক্স ইটভাটা। এক মাসে আগে কথা উঠে এই ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা মাটি খুঁড়লেই মিলছে স্বর্ণের বিভিন্ন অংশ। এ কথা ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ দিন–রাত সমানতালে মাটি খননে নেমে পড়েন।
এ সময় শ্রাবন্তী নামের এক নারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর এলাকা থেকে দুই দিন ধরে এখানে এসে মাটি খনন করছেন। তিনি কোনো সোনা পাননি। কিন্তু তাঁর সামনে দুজন দুটি কানের দুল পেয়েছেন।
নানি আফরোজার সঙ্গে কিশোরী আঁখি এসেছে মাটি খুঁড়তে। সে জানায়, যদি স্বর্ণ খুঁজে পায়, তাহলে সেটি বিক্রি করে নতুন জামা–কাপড় কিনবে।
সেখানে কথা হয় কাতিহার এলাকার নারায়ণের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাতিহারের পরিত্যক্ত শ্যামরাই কালীমন্দিরের আশপাশে অনেক দামি জিনিসপত্র মাটির নিচে রয়েছে। এটি প্রচলিত। সেই মন্দিরের আশপাশের জমি খনন করে এ মাটি আনা হয়েছে। কেউ একজন নাকি মাটি খননের সময় স্বর্ণের বালা পেয়েছে। সে কথা ছড়িয়ে পড়লেই তিনিও সবার মতো এসেছেন এসেছে স্বর্ণের সন্ধানে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, মাটি খননের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। শিগগির এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।