হোম > সারা দেশ > রংপুর

সৈয়দপুরে সিনেমা হলে ফিরছে দর্শক, দিনে লাখ টাকার টিকিট বিক্রি

­­ জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

সৈয়দপুরের তামান্না সিনেমা হল। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারী ও পুরুষ দর্শকের ভিড়ে জমজমাট নীলফামারীর একমাত্র সৈয়দপুরের ‘তামান্না সিনেমা’ হল। ঈদের দিন থেকে এই সিনেমা হলে প্রতিদিন লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়নি। এতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন হলের মালিকেরা। অন্যদিকে মানসম্মত চলচিত্র নির্মাণ এবং হলে বসে সিনেমা দেখার পরিবেশ ফিরে পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে দর্শক।

সূত্রমতে, নীলফামারী জেলায় একসময় ২৭টি সিনেমা হল ছিল। দর্শকের অভাবে প্রায় পাঁচ বছর আগেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে গেছে ২৬টি সিনেমা হল। এসব সিনেমা হলের মালিকদের মতে, ইউটিউব কিংবা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে হাতে হাতে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সিনেমা দেখছে দর্শক। তাই তারা সিনেমা হলবিমুখ। এ ছাড়া ভালো সিনেমা নির্মাণ না হওয়ায় হল বন্ধের অন্যতম কারণ।

কিন্তু এবারের ঈদে হলমুখী হয়েছে সাধারণ দর্শক। সৈয়দপুরের তামান্না সিনেমা হলে শনিবার গিয়ে দেখা গেছে দর্শকে পরিপূর্ণ। এদের মধ্যে ২০ শতাংশ নারী দর্শক রয়েছেন। এই সিনেমা হলে চলছে সাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমাটি।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী এলাকার দর্শক আব্দুর রউফ বলেন, বড় পর্দায় সিনেমা দেখে যে আনন্দ রয়েছে, মোবাইল ফোনে বা স্মার্ট টিভি সেটের সামনে বসে সেই আনন্দ নেই। তিনি স্ত্রী ও চার বছর বয়সের কন্যাশিশুকে নিয়ে সিনেমা দেখেছেন। তিনি বলেন, এই হলের পরিবেশ ভালো। মহিলা দর্শকদের নিরাপত্তাও রয়েছে, তাই মাঝেমধ্যে এখানে সিনেমা দেখতে আসি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর থেকে আসা হাবিবা আকতার বলেন, স্বামী ও ছোট ভাই-বোনকে নিয়ে সিনেমা দেখতে এসেছি। এর আগে এই হলে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি দেখেছি। হলের পরিবেশ মোটামুটি ভালো। বসার আসনগুলো আরও উন্নত করার পাশাপাশি শৌচাগার পরিষ্কার রাখতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

তামান্না সিনেমা হলের অপারেটর আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছি। এমনও দিন গেছে, দু-তিনজন দর্শক দিয়ে সিনেমা হলের শো চালাতে হয়েছে। কিন্তু এবার ঈদে দর্শকের চাপে দিনে-রাতে মিলে পাঁচটি শো চালাতে হচ্ছে। প্রতিটি শোতে দর্শক পরিপূর্ণ।

জেলার একমাত্র চালু থাকা তামান্না সিনেমা হলের মালিক মাহবুব আলী ঝন্টু আজকের পত্রিকাকে জানান, দর্শকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার ২৬টি সিনেমা হল। এ সময় ঋণ নিয়ে সিনেমা হলের ব্যবসাটি ধরে রেখেছি। এবার আশার আলো দেখছি। প্রতিদিন গড়ে লাখ টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনপ্রিয় অভিনেতা ও ভালো কাহিনির সিনেমা নির্মিত হলে দর্শক অবশ্যই হলমুখী হবেই। যেখানে মহিলা দর্শক সিনেমা হলে আসা শুরু করেছে, সেখানে বাংলা সিনেমার আবারও ইতিবাচক দিক লক্ষণীয়।

এদিকে জেলার বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো ভেঙে মার্কেট, গোডাউন গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান, হল সুপারভাইজার থেকে শুরু করে এই ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল হয়ে সংসার চালাতেন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ। তাঁরা এখন অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।

বরখাস্ত করা অধ্যক্ষকে পুনর্বহালে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

ঝড়-শিলায় ক্ষতি ৩৬০ বিঘা পেঁয়াজবীজের খেত

মহাসড়কজুড়ে ‘আলপথ’, তদন্তে নেমেছে দুদক

হাসপাতালে দুই দিন ধরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ, রোগীদের দুর্ভোগ

গ্রামে ঘুরে ঘুরে শিশুদের আবদার ‘রাক্ষস এসেছি রে...চাল দে’

ফুলবাড়ীতে গাছের চাপায় পড়ে নারীর মৃত্যু

গাইবান্ধায় জামায়াতের গণসংযোগ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হামলা, আহত ২

আ.লীগ সরকারের পতনের ৮ মাস পরও বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনার স্লোগান

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপির ৬ জন আহত, আটক ৩

গঙ্গাচড়ায় বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার