কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসন পরিচালিত কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত’ অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ মিলনকে পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধ্যক্ষের ‘ভাড়াটিয়া বাহিনী’ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকালে শহরের খেজুরের তল মোড় ও কলেজ মোড়ে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে তারা কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মৎস্য অফিসার। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বি এম কুদরত-এ-খুদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের দাবি ও অনড় অবস্থানের মুখে অধ্যক্ষ মিলনকে স্থায়ী বরখাস্তের আদেশ দেন সাবেক জেলা প্রশাসক ও গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
এদিকে জেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যক্ষ মিলন বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত বরখাস্তের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তাঁকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ খবর পাওয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আবারও প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ মিলনকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি তোলেন। দাবি আদায়ে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখার শিক্ষার্থী রায়হান হাবিব রনি বলে, ‘সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ মিলন স্যারকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমাদের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অধ্যক্ষের ভাড়া করা গুণ্ডা বাহিনী হামলা করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের কলেজ ভবনে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অধ্যক্ষের ভাড়াটিয়া বাহিনী হামলা করে। কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বত্তরা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভ করার চেষ্টা করেছি। পরে কলেজে গিয়ে দেখি পুলিশি প্রহরায় শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে আটকে রাখা হয়েছে। কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে তাদের বের হতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বের হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসন চত্বরে পৌঁছায়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ মিলনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বি এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মিলনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার সেকেন্ড অফিসার ও উপপরিদর্শক (এসআই) রাফায়েত বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে সমকামিতা, আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া এক কিশোরের সঙ্গে হারুন-অর-রশিদের একটি ‘আপত্তিকর’ ভিডিও কলের ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবি তোলেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে সার্বিক দিক বিবেচনায় হারুন-অর-রশিদকে স্থায়ী বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় গভর্নিং বডি।
সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসন পরিচালিত কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত’ অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ মিলনকে পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধ্যক্ষের ‘ভাড়াটিয়া বাহিনী’ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকালে শহরের খেজুরের তল মোড় ও কলেজ মোড়ে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে তারা কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মৎস্য অফিসার। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বি এম কুদরত-এ-খুদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের দাবি ও অনড় অবস্থানের মুখে অধ্যক্ষ মিলনকে স্থায়ী বরখাস্তের আদেশ দেন সাবেক জেলা প্রশাসক ও গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
এদিকে জেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যক্ষ মিলন বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত বরখাস্তের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তাঁকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ খবর পাওয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আবারও প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ মিলনকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি তোলেন। দাবি আদায়ে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখার শিক্ষার্থী রায়হান হাবিব রনি বলে, ‘সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ মিলন স্যারকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমাদের পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অধ্যক্ষের ভাড়া করা গুণ্ডা বাহিনী হামলা করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের কলেজ ভবনে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অধ্যক্ষের ভাড়াটিয়া বাহিনী হামলা করে। কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বত্তরা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভ করার চেষ্টা করেছি। পরে কলেজে গিয়ে দেখি পুলিশি প্রহরায় শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে আটকে রাখা হয়েছে। কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে তাদের বের হতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বের হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসন চত্বরে পৌঁছায়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ মিলনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বি এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মিলনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার সেকেন্ড অফিসার ও উপপরিদর্শক (এসআই) রাফায়েত বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে সমকামিতা, আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া এক কিশোরের সঙ্গে হারুন-অর-রশিদের একটি ‘আপত্তিকর’ ভিডিও কলের ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবি তোলেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে সার্বিক দিক বিবেচনায় হারুন-অর-রশিদকে স্থায়ী বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় গভর্নিং বডি।
পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন..
১৩ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালনকালে হাসপাতালটিতে বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে...
২৮ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার বর্জ্য ফেলার নিজস্ব কোনো জায়গা বা ভাগাড় না থাকায় তা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদী। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। আবর্জনার স্তূপে মৃতপ্রায় নদীটি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি..
৩৩ মিনিট আগেকক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
৩৭ মিনিট আগে